Index

সূচক ট্রেডিংয়ে (Index Trading) লাভ-ক্ষতির হিসাব বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। সূচক ট্রেডিং সাধারণত CFD (Contract for Difference), ফিউচার্স, বা ETF (Exchange-Traded Fund)-এর মাধ্যমে করা হয়। নিচে সূচক ট্রেডিংয়ে লাভ-ক্ষতি হিসাব করার জন্য প্রয়োজনীয় ধাপ ও উদাহরণ দেওয়া হলো:


লাভ-ক্ষতি নির্ধারণের প্রধান ধাপ:

  1. লট সাইজ এবং চুক্তি মান বোঝা: সূচক ট্রেডিংয়ের সময়, প্রতিটি পিপস মুভমেন্টে কী পরিমাণ অর্থ লাভ বা ক্ষতি হবে তা নির্ভর করে লট সাইজের উপর।
    উদাহরণ:

    • 1 লট = $1 প্রতি পিপস মুভমেন্ট (এটি ব্রোকারের উপর নির্ভর করে)।
  2. এন্ট্রি এবং এক্সিট প্রাইস নির্ধারণ:
    • লাভ: যদি আপনি কিনেছেন এবং দাম বাড়ে।
    • ক্ষতি: যদি দাম আপনার বিপরীত দিকে যায়।
  3. লিভারেজ ব্যবহার:
    লিভারেজ ব্যবহারে আপনি ছোট মূলধনে বড় পরিমাণ ট্রেড করতে পারেন। তবে এটি লাভের পাশাপাশি ক্ষতির ঝুঁকিও বাড়ায়।
    উদাহরণ:

    • লিভারেজ 1:100 হলে, আপনি $100 দিয়ে $10,000 পর্যন্ত ট্রেড করতে পারেন।
  4. স্প্রেড  :
    ব্রোকারের স্প্রেড (বাই ও সেল প্রাইসের পার্থক্য)  ।

লাভ-ক্ষতি হিসাবের উদাহরণ:

উদাহরণ ১:

  • USA30 সূচকের দাম: 35,000।
  • ট্রেডের ধরন: Buy (লং)।
  • লট সাইজ: 1 লট ($1 প্রতি পিপস)।
  • এন্ট্রি প্রাইস: 35,000।
  • এক্সিট প্রাইস: 35,050।

লাভ = (35,050 – 35,000) × $1
লাভ = $50

উদাহরণ ২:

  • USA30 সূচকের দাম: 35,000।
  • ট্রেডের ধরন: Sell (শর্ট)।
  • লট সাইজ: 1 লট।
  • এন্ট্রি প্রাইস: 35,000।
  • এক্সিট প্রাইস: 35,030।

ক্ষতি = (35,030 – 35,000) × $1
ক্ষতি = $30


লাভ-ক্ষতির উপর প্রভাব ফেলে যেসব বিষয়:

  1. মার্কেট ভোলাটিলিটি:
    বড় খবর বা ইভেন্টের সময় মার্কেটের ওঠা-নামা বেশি হয়।
  2. স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেটিং:
    ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে স্টপ লস ব্যবহার করুন এবং লাভ তুলতে টেক প্রফিট সেট করুন।
  3. লিভারেজের মাত্রা:
    বেশি লিভারেজে ট্রেড করলে ক্ষতির পরিমাণও বেশি হতে পারে।
  4. ট্রেডিং ফি এবং রাতের সুদ (Swap Fee):
    দীর্ঘ সময় ধরে পজিশন রাখলে অতিরিক্ত ফি কাটা হয়।

পরামর্শ:

  1. ডেমো অ্যাকাউন্টে প্র্যাকটিস করুন:
    আসল টাকা বিনিয়োগের আগে ডেমো ট্রেডিংয়ে লাভ-ক্ষতির হিসাব শিখুন।
  2. মানি ম্যানেজমেন্ট অনুসরণ করুন:
    প্রতিটি ট্রেডে পুঁজি ব্যবহারের সীমা নির্ধারণ করুন (যেমন, ১-২%)।
  3. মার্কেট বিশ্লেষণ করুন:
    • টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (চার্ট প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটর)।
    • ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (মার্কেট নিউজ)।

আপনার সূচক ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে, জানাতে পারেন!

 

USA 30 সূচক, যা Dow Jones Industrial Average (DJIA) নামেও পরিচিত, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারের অন্যতম পুরাতন এবং বিখ্যাত সূচক। এটি ৩০টি বৃহৎ ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির শেয়ারের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই সূচক মার্কিন অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা বুঝতে সাহায্য করে।

USA30 Companies:

  1. 3M (MMM) – Industrial conglomerate
  2. Amgen (AMGN) – Biotechnology
  3. Apple (AAPL) – Technology
  4. Boeing (BA) – Aerospace and defense
  5. Caterpillar (CAT) – Construction machinery
  6. Chevron (CVX) – Energy
  7. Cisco Systems (CSCO) – Networking and IT
  8. Coca-Cola (KO) – Beverages
  9. Disney (DIS) – Entertainment
  10. Dow Inc. (DOW) – Chemicals and materials
  11. Goldman Sachs (GS) – Investment banking
  12. Home Depot (HD) – Retail (home improvement)
  13. Honeywell (HON) – Industrial and technology
  14. IBM (IBM) – Technology and consulting
  15. Intel (INTC) – Semiconductors
  16. Johnson & Johnson (JNJ) – Pharmaceuticals and healthcare
  17. JPMorgan Chase (JPM) – Banking
  18. McDonald’s (MCD) – Restaurants
  19. Merck & Co. (MRK) – Pharmaceuticals
  20. Microsoft (MSFT) – Technology
  21. Nike (NKE) – Apparel and footwear
  22. Procter & Gamble (PG) – Consumer goods
  23. Salesforce (CRM) – Cloud computing
  24. Travelers Companies (TRV) – Insurance
  25. UnitedHealth Group (UNH) – Healthcare
  26. Verizon (VZ) – Telecommunications
  27. Visa (V) – Financial services
  28. Walgreens Boots Alliance (WBA) – Retail pharmacy
  29. Walmart (WMT) – Retail
  30. American Express (AXP) – Financial services

 

ক্যান্ডেলস্টিক

ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্ন 

চার্ট প্যাটার্ন